"ESI হাসপাতালে আগুনের বলি গাইঘাটার উত্তম!এমন না হলে হইতো আর কটা দিন বাঁচতো,আক্ষেপ পরিবারের"।

"ESI হাসপাতালে আগুনের বলি গাইঘাটার উত্তম!এমন না হলে হইতো আর কটা দিন বাঁচতো,আক্ষেপ পরিবারের"। সময়ের মুখ ডিজিটাল: শিয়ালদহ ই এস আই হাসপাতালের অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু হল গাইঘাটার ক্যান্সার আক্রান্ত ব্যাক্তির।আগুনের ধোঁয়ায় শ্বাসকষ্ট হয়েই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলেই জানা গেছে।মৃতের পরিবারের একটাই আক্ষেপ হাসপাতালে আগুন লাগার ঘটনা না ঘটলে হয়তো আরও কিছুদিন বেঁচে থাকতেন তিনি। গত ৮ মাস ধরে ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন গাইঘাটা ব্লকের চাঁদপাড়া পঞ্চায়েতের ঢাকুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা উত্তম বর্ধন(৫৪)।প্যাংক্রিয়াসে মারণ রোগ বাসা বেঁধেছিল বলেই পরিবার সূত্রে জানা গেছে।উত্তম বিরাটিতে একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করতেন।স্ত্রী পিংকি এবং একমাত্র মেয়ে প্রিয়াংকাকে নিয়েই ছিল তাঁর সংসার।মধ্যবিত্ত পরিবার। গাইঘাটার ঢাকুরিয়া গ্রামের একতলা ছিমছাম বাড়িতেই থাকতেন তিনি।বেশ কয়েক বছর আগে কলকাতায় একটা ফ্ল্যাটও কিনেছিলেন তিনি।দিব্যি চলছিল সবকিছু।কিন্তু ৮ মাস আগে উত্তমের শরীরে মারনরোগ বাসা বাঁধে। ক্যান্সার আক্রান্ত হয়েছেন জানার পরেই মানসিক ভাবে জোর ধাক্কা লেগেছিল মেয়ে এবং স্ত্রীর মনে।উত্তম নিজেও একটু একটু করে শারীরিক এবং মানসিক ভাবে ভাঙতে শুরু করেছিলেন।প্রথম ধাক্কাটা সামলে অবশ্য পরিবারের লোকজন ক্যান্সারের চিকিৎসা শুরু করেন।মুম্বইতে গিয়ে তাঁর চিকিৎসাও করেছিলেন। কেমোথেরাপিও হয়েছিল।কিন্তু ধীরে ধীরে আরও সংকট জনক পরিস্থিতি তৈরি হয়।মুম্বই থেকে ফিরে এসে গাইঘাটার ঢাকুরিয়ার বাড়িতেই ছিলেন কিছুদিন।এরপর দুমাস আগে পরিবারের লোকজন উত্তমকে শিয়ালদহ ই এস আই হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছিলেন।শেষের দিকে ক্যান্সারে আক্রান্ত উত্তমের শারীরিক অবস্থা এতটাই খারাপ অবস্থায় ছিল,যে ঠিকঠাক ভাবে কেমোথেরাপি নিতেও পারছিলেন না তিনি।দুর্গাপুজোর পনেরো দিন আগে অবশ্য হাসপাতাল থেকে গাইঘাটার ঢাকুড়িয়ার বাড়িতে এসেছিলেন।কদিন পর ফের ভর্তি হন ই এস আই হাসপাতালে।সেই শেষ বাড়িতে ফেরা। শুক্রবার ভোরে ই এস আই হাসপাতালের দোতলায় পুরুষ সার্জিক্যাল বিভাগে অগ্নিকাণ্ডের জেরে প্রচণ্ড ধোঁয়ায় শ্বাসকষ্ট হয়ে মৃত্যু হল উত্তম বর্ধনের।ঘটনার পরেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ফোন করে বিষয়টি জানান পরিবারের লোকজনদের। মর্মান্তিক ঘটনার খবর পেয়েই মেয়ে,স্ত্রী,ভাইপো সহ পরিবারের লোকজন ই এস আই হাসপাতালে পৌঁছান। এই প্রসঙ্গে মৃতের বৌদি উজ্জ্বলা বর্ধন বলেন,"ওনার শারীরিক অবস্থা এমনিতেই খুব খারাপ ছিল।তবুও তো লোকটা বেঁচে ছিলেন। ই এস আই হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি না ঘটলে হয়তো আরও কয়েকটা দিন বেঁচে থাকতেন।" মৃতের ভাইপো গোবিন্দ বর্ধন বলেন,"৮ মাস ধরে জ্যেঠু ক্যান্সারে আক্রান্ত হন।এই কয়মাসেই একেবারে লাস্ট স্টেজে চলে গিয়েছিলেন।কেমো টাও ঠিকঠাক নিতে পারছিলেন না।এদিনের ঘটনায় সব শেষ হয়ে গেল।আমাদের কোন অভিযোগ নেই।"

1 / 4

1.

Next